বিদ্যুৎ কেন্দ্র  অলস পড়ে থাকলেও নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন 

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র  উৎপাদনে না এসে বসে থাকার পরও ২০২৫ সালের মধ্যে আরও অন্তত চার হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। সবগুলো কেন্দ্রর কাজই চলমান। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রর অনুমোদন দেওয়া হয় মহাপরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) দেখে। ভবিষ্যতে যাতে সংকট না হয় ও একই সঙ্গে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বিশেষ করে শিল্প এবং বাণিজ্যে যাতে বিদ্যুৎ ঘাটতি না দেখা দেয় তা বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এখনই বেশিরভাগ কেন্দ্রই বসে আছে। সামনের কেন্দ্রগুলোও অলস বসে থাকবে কিনা জানতে চাইলে সূত্র জানায়, কিছু বিচ্যুতি থাকলেও আমরা চেষ্টা করি মাস্টারপ্ল্যান মেনে চলতে।

সূত্র জানায়, দেশে এখন মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট। এরমধ্যে প্রায় ২০ হাজার ৯৩৪ মেগাওয়াট গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ১৩ হাজার ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ও ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না।

এর বাইরে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রয়েছে শিল্প উদ্যোক্তাদের (ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ)। যেগুলো তারা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোই উৎপাদনে এসেছে। এরমধ্যে সরকারি কেন্দ্র ৬৫৯ মেগাওয়াট এবং বেসরকারিতে রয়েছে ৪৯৫ মেগাওয়াট।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৯০ মেগাওয়াটের মধ্যে সরকারি ১৯০ এবং বেসরকারি ৭০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র রয়েছে। পরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক হাজার ৭৭০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ৫৬১ মেগাওয়াট ও বেসরকারি ১ হাজার ২০৯ মেগাওয়াট।

অবশ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে কম—১৭৬ মেগাওয়াট কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এর মধ্যে সরকারি ১২৫ এবং বেসরকারি ৫১ মেগাওয়াট।

পিডিবি সূত্র বলছে এ সময়ে দেশের মেগা কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। উৎপাদনে আসবে মাতারবাড়ী, রামপাল, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় এসব কেন্দ্র বানানো হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় যে চাহিদার প্রক্ষেপণ দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে উৎপাদন পরিকল্পনা সামঞ্জস্যহীন হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।